27th Birth Day of Ambala Foundation
২ প্রতিষ্ঠানের জন্মদিন, আম্বালা ফাউন্ডেশান ও একজন আরিফ সিকদার
পাবলো পিকাসো মাত্র ৩০ সেকেন্ডে এক নারীর পোর্ট্রেট এঁকে তার দাম চেয়েছিলেন ১০ হাজার ডলার। নারী বিষ্মিত হলে তিনি বলেছিলেন এই ৩০ সেকেন্ডে একটা পোর্ট্রেট আঁকার কৌশল রপ্ত করতে তার সময় লেগেছে ৩০ বছর। একটা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের জন্য কাজ করে, তার সফলতার গল্প বলতে গেলে এমনি ৩০ বছরের এক গল্প চলে আসবে। ৩০ নয় ঠিক, ২৭ বছরে যাত্রা শুরুর আগের সমস্ত গল্প, কোন একদিন এ গল্প নিয়ে রিসার্চ হবে, ইতিহাস লেখা হবে। তাই ভারটা সেই রিসার্চারের হাতে ছেড়ে দিলাম, সামান্য মানুষ আমি ইতিহাস লেখার দূঃসাহস দেখাই না।
আম্বালা ফাউন্ডেশান। একটা প্রতিষ্ঠান, একটা স্বপ্ন, হাজার মানুষের টিকে থাকার অবলম্বন। এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে ইসি বাংলাদেশ নামে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল এখন থেকে ঠিক ২৬ বছর আগে ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু উদ্যামী শিক্ষার্থীর আড্ডার ফসল হিসাবে। ফেব্রুয়ারির এই ১২ তারিখে তার ২৬ বছর পূর্ণ হয়ে গেলো, শুরু হলো ২৭ বর্ষে পদচারনা। আম্বালা ফাউন্ডেশান কি তার লক্ষ, উদ্দেশ্য পূরনে সফল ? বাংলাদেশের মতো দেশে একটা স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সফলতার ইতিহাসের পথটা খুব মসৃন হয়না। পদে পদে বহুমাত্রিক বাঁধা আসে। স্বপ্ন দেখা সবাই সেই পথে হাত ধরে চলেনা। চলেন তিনিই যিনি স্বপ্নকে বাঁচিয়ে বড় করেন।
এইতো ১৫ বছর আগেও ২ রুমের এক ছোট্ট অফিস নিয়ে ছিলো যে প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নের মাঠে বীজ বোনার কাজ সেই প্রতিষ্ঠান এখন তার প্রধান কার্যালয়ের কর্মীদের স্থান সংকুলানের জন্য ২ টি বহুতল ভবনেও কুলাতে পারছে না। দেশজুড়ে হাজার হাজার কর্মী, লক্ষ লক্ষ মানুষ আছে যাদের মুখে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হাসি ফুটেছে সেই স্বপ্ন দেখা মানুষের ঠিক করা লক্ষ, উদ্দেশ্য, কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে। সুদক্ষ নেতৃত্ব ছাড়া এটা কখনো সম্ভব হতো না। সাফল্য কোন মরীচিকা নয়। সারাজীবন অধরা থেকে যাবে এমন কোন অসাধ্য বস্তুও নয়। তবে ধৈর্য্য ধরে সঠিক পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হয়। আর যদি তা হয় নিজের উন্নতির চেয়ে গণ মানুষের উন্নতি ও সফলতা তবে তা আরো কঠিন হয়ে যায়। এই কঠিন কাজগুলো করার মানুষ খুব কমই আছে আমাদের সমাজে। আমাদের সবার প্রিয় জনাব আরিফ সিকদার তা করে দেখিয়েছেন। অন্য সকল সফলতা বাদ দিয়েও বলা যায়, তিনি যে হাজার হাজার মানুষের সমৃদ্ধ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন সেটাই তার সবচেয়ে বড় সফলতা।
সুখের কথা হলো, একই দিনে, ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে আম্বালা ফাউন্ডেশান ও তার প্রতিষ্ঠাতা জনাব আরিফ সিকদারেরও জন্মদিন। সাফল্যের গল্প কাউকে জানাতে হয়না। দেশজুড়ে শত শত মানুষ, শত অফিস, ফেসবুকের পাতাজুড়ে ভালবাসার প্রকাশ জানিয়ে দেয় আম্বালা ফাউন্ডেশান ও তার প্রতিষ্ঠাতার আজকের এই সাফল্যের দ্যুতি। হাজার মানুষের ভালবাসা প্রাপ্তি এক বড় ব্যাপার। তাও এমন অনেকে তার প্রকাশ দেখান আম্বালা ফাউন্ডেশানের সঙ্গে যাদের কোনরকম স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত নেই। তারুণ্যের অহংকার, মনবতার গর্ব আম্বালা ফাউন্ডেশান ও তার প্রতিষ্ঠাতা জনাব আরিফ সিকদার। আম্বালা ফাউন্ডেশান ও ব্যক্তি আরিফ সিকদার ২ জনই আজ প্রতিষ্ঠানের মহিমায় উজ্জ্বল।
একটা মানুষের ২৬ বছরের ত্যাগ, শ্রম, মেধা, ধৈর্য্য আর তার সঙ্গে মিশে থাকা একদল সুদক্ষ, আন্তরিক কর্মী বাহিনীর সমন্বয়ে আজকের যে আম্বালা ফাউন্ডেশান তা নিয়ে এর সকল কর্মী গর্ব করতেই পারেন। ঐ মানুষটি তার কর্মজীবনের পুরোটা দিয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের পিছনে। পাশাপাশি কমিউনিটি প্রচার মাধ্যম রেডিও বিক্রমপুর এফ এম ৯৯.২ প্রতিষ্ঠা করে প্রান্তিক, পশ্চাৎপদ এক জনগীষ্ঠীর কাছে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের বার্তা, শিক্ষার শক্তি। মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছেন তিনি এই প্রচার মাধ্যমে।
হাজার হাজার কর্মী তাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান আম্বালা ফাউন্ডেশান ও তার প্রতিষ্ঠাতা জনাব আরিফ সিকদারের জন্মদিন পালন করেছেন নিজেদের মতো করে। সবকিছুই ছিলো স্বতঃস্ফূর্ত। এক ঝাঁক তারুণ্যের শক্তি দিয়ে চালিত এই প্রতিষ্ঠানের আধুনিক চিন্তা, চেতনা ও তার প্রয়োগ যার হাত ধরে এসেছে তাকে বাদ দিয়ে যেমন প্রতিষ্ঠান হতো না, তেমনি তার জন্ম ছাড়া আজ লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখে হাসিও ফুটতো না। তারুণ্যের এই অগ্রগামী যাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিতে আম্বালা ফাউন্ডেশানের আছে নানামূখী উদ্যোগ। এই ওয়েব সাইটে পাবেন আম্বালা ফাউন্ডেশানের সকল প্রোগ্রামের তথ্য।
ইতিহাসের স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তিরা আমাদের সবার মতোই একেকজন পৃথিবীর আলো হাওয়ায় বেড়ে ওঠা মানুষ, ভিনগ্রহের আগন্তুক নন। প্রচেষ্টা আর সাধনায় তাঁরা ছাড়িয়ে গেছেন অন্যদের প্রতিদিন একটু একটু করে। একটুখানি উদ্যোগ নিলে সবাই পারবে একদিন তাঁদের কাতারে নাম লেখাতে। কিন্তু সবাই পারেনা। যারা পারে তাদের নামের সঙ্গে লেখা হয় সফলতার গল্প, সাফল্যের ইতিহাস। সফলরা ভিন্ন কোন কাজ করেন না, আমরা যা করি সাধারনভাবে তারা সেগুলো করেন ভিন্ন উপায়ে, ভিন্ন আঙ্গিকে। একজন আরিফ সিকদার সেই সফল মানুষদেরই একজন যার জন্মদিন একদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উৎযাপন করা হবে তার প্রতিষ্ঠিত আম্বালা ফাউন্ডেশনের সাফল্যে।
একজন আরিফ সিকদার ও তার প্রতিষ্ঠিত আম্বালা ফাউন্ডেশান মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়ন, অধিকার প্রাপ্তি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কাজ করে। তিনি ব্যর্থতা থেকে শিখে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখেন ও স্বপ্ন বাস্তব করে দেখান। তার শুরু করা ‘স্বপ্নযাত্রা’ হবে এমনই একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ যা শত শত জীর্ণ পরিবারকে দিবে আলোর দিশা। শত শত তরুণ তাকে এখন মেন্টর মানেন। তিনি একজন সত্যিকারের ‘চেঞ্জমেকার’। মিডিয়ার খুব কাছাকাছি ছিলেন সারাজীবন, কিন্তু প্রচারবিমুখ মানুষটি নিরবেই কাজ করে গেছেন। আজ তার সাফল্যের যে আলো মিডিয়াতে একটু আসছে তাতে তার কোন সম্মতি নেই, আমাদের মতো যারা তার গুণগ্রাহী, যাদেরকে তিনি ভালবাসার ঋণে আবদ্ধ করেছেন, তারাই তাকে না জানিয়েই বাইরে জানিয়ে দেই।
The beneficiaries, stakeholders and staffs celebrated the Birth Day of the Development Organization Ambala Foundation and the founder of the organization Mr. Arif Sikder. Fortunately, the organization and Mr. Sikder’s birthday are the same, 12th February. Staffs wished the organization’s prosper and happiness of their beloved Executive Director Mr. Sikder who is the mastermind for facilitating happiness to millions of peoples.
‘Ambala Foundation is a noble initiative initiated by some change seeking young of Bangladesh dedicated to help the impoverished people of Bangladesh. We hope to break the cycle of poverty through the micro-credit, social programs, education and rebuilding of our nation. We facilitate happiness together.’ this is the About Section description of Ambala Foundation. Ambala Foundation started its journey in 1994 when the founder Mr. Arif Sikder and his friends dreamed to change the way of poverty reduction and environmental sustainability with new approaches.
The organization started it’s operation as Environment Council Bangladesh or EC Bangladesh. It was renamed to Ambala Foundation few years ago. Ambala Foundation is the pioneer in Bangladesh to introduce ICT Tools for social development. The organization always try to eliminate the poverty and facilitate happiness to the people through establishing social unity, promoting quality education, using ICT tools, and integrated development. We are the pioneer in this country to introduce ICT Tools for Social Development and Social Entrepreneurship. Mr. Sikder is the Leader who leads this initiative from the front.
Mr. Sikder describes that he works believing honesty, sincerity and dedication towards social change. He and his team take creative action to solve social problems. The organizational heroes can identify problems and see it as an opportunity to build a solution. They applies the critical skills of empathy, teamwork and leadership to make positive impact to the society. This is the hidden truth behind the success story of Ambala Foundation.
Related Posts
The Light of Expectation
Halima Begum, a simple, industrious and courageous housewife from a fisher folk community change herRead More
When Dreams Comes into Reality
Kakoli Begum, a simple, industrious and courageous woman change her own fate through her willRead More
বিমা খাতকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃসময়ে বিমা থাকার বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার পাশাপাশি আধুনিক তথ্যRead More